পীর সাহেব
২য় পর্ব
===================
*
লতিফ মুখে হুজুরের কাছে বিয়ের কথা
বলার আগেই সে প্রচার শুরু করে দেয় ।
আমার আদরের জামাইয়ের মনমরা মুখ
সহ্য করতে পারছি না। তাই ঠিক
করেছি আবার তার বিয়ে দেব।পাত্রী
পছন্দ করেই ফেলেছি । আগামী মাসে
বিয়ে।
লতিফ কি বলবে ভেবে পায় না। সত্যি
তার শ্বশুর পীর বটে ! নইলে তার মনের
কথা এভাবে বুঝতো না। লতিফের
ভক্তি-শ্রদ্ধা শত গুণ বেড়ে যায়।।শ্বশুর
ছাড়া কিছু বোঝে না।
এবারও বিয়েতে ধুমধামের কমতি হলো
না। বৌ দেখে লতিফের প্রান জুড়িয়ে
যায়। তার শ্বশুরের পছন্দ আছে বলতেই
হয়।
নারায়নগঞ্জে পাটের কারবার
লতিফের। সেখানেই উঠলো বউ নিয়ে।
শ্বশুর- শ্বাশুড়ী ভেজা চোখে বিদায়
দিলো তাদের।
~
দিনে দিনে দুই বছর গেল , তিন বছর
গেলো। এর মধ্যে কোন সন্তান পেটে
এলো না সকিনার ।তার টলটলে
স্বাস্থ্য, উপযুক্ত বয়স । এ বয়সে সন্তান
না হওয়ার তো কোন কারন নেই।
ডাক্তার দেখানোর জন্য সকিনা
পীড়াপীড়ি করলে আজ কাল করে
সময়ের অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যায়
লতিফ মিয়া। তার ভয় , ডাক্তার যদি
তাকেই এই অবস্থার জন্য দায়ী করেন ।
তখন কি তার কাছে থাকবে সকিনা?
সকিনার কান্নাকাটিতে অতিষ্ট হয়ে
ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে রাজী
হয় । ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা -
নীরিক্ষা করে যা বললেন তাতে
মাথায় আকাশ ভেঙে পরলেও এতো
কষ্ট পেত না সকিনা। কিন্তু এখন তো
কিছু করারও নেই।
ডাক্তারের কথা হেসে উড়িয়ে দেয়
লতিফ মিয়া।
তোমারও কি তা-ই মনে হয়? আমার তা
মনে হয় না। কে কাটবে তোমার
নাড়ী ? কেন কাটবে? মাথা কি
খারাপ হইছে কারো?
~
মাঘী পূর্ণিমার দিন ঘনিয়ে এসেছে।
সবাই একে একে আস্তানায় আসতে শুরু
করেছে।
সকিনাকে নিয়ে দুদিন আগে আসে
লতিফ।
ছেলেমেয়েরা বাপকে পেয়ে আনন্দে
লাফিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে।মায়ের
কাছে তারা আসে না। সকিনার
ভেতরটা পুড়ে যায় ,মুখে কিছু বলতে
পারে না। পীর প্রভাবিত মহলে মনের
কথা বলা পাপ।
শিরনি-সালাত সেরে যার যার মতো
চলে যায়। লতিফ আরো দুদিন থাকতো।
কিন্তু খবর আসে পাটের গুদমে আগুন
লেগেছে। তাই তাকে তড়িঘড়ি করে
চলে যেতে হলো।
ধনী এক তামাক ব্যবসায়ি ,পীর
সাহেবের অনেক হাতে পায়ে ধরে তার
মেয়ের বিয়েতে পীরমাকে নিয়ে
গেলেন । বাধ্য হয়ে সকিনাকে থাকতে
হলো বাড়িতে।
সকিনা অনেক ভেবেও তার
প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজে পায় না। মনটা
পুড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কেন তাকে
ওই শাস্তি দেওয়া হলো? কেন তাকে
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চাওয়া থেকে বঞ্চিত
করা হলো? সাপের মতো ফুসতে থাকে
সে। যদি বিষধর সাপ কাউকে কাটে ওই
সাপকে মেরে ফেলা কি অন্যায়?এই
প্রশ্নে ক্ষতবিক্ষত সকিনার মন।
~
মাঘের কুয়াশায় জড়ানো জমাট বাধা
অন্ধকার রাত। চারদিক নিস্তব্ধ । রাত
বারোটায় হুজুর আসন ঘর থেকে অন্দর
মহলে আসেন । লেবাস পোশাক ছেড়ে
শুতে যাবে এমন সময় সকিনা এসে
দরজায় দাড়ালো।
-বাবা, বাবা কি শুয়ে পড়েছেন?
-না মা ,কেন?
ভেতরে আসবো । আপনার সঙ্গে একটা
কথা ছিলো।
-এসো, ভিতরে এসো।
সকিনা ঘরে আসতেই পীর সাহেব
বিছানায় শুয়ে বললেন, বলো, কি কথা?
-বাবা , আপনি এতো লোকের জন্য
দোয়া করেন , আামার জন্য দোয়া
করেন না? আজ এসেছি দোয়া ভিক্ষা
চাইতে।
-কেন, কিসের অভাব তোমার? কিসের
জন্য দোয়া?
- আমার কোল জুড়ে কেউ আসছে না
কেন?
-আসবে, আসবে, খাস দিলে দোয়া
করছি।
-তাই? দোয়া করছেন? বাবা, আমার
পেটে একটা কাটা দাগ আছে । তা
কিসের?
-তোমার খুব কঠিন অসুখ হয়েছিল।
পেটে টিউমার ছিল। তা ফেলে দেয়া
হয়েছে। না হলে তুমি সারা জীবন খুব
অসুবিধায় থাকতে।এ কথা বলে পীর
সাহেব মুখ ঘুড়িয়ে রাখলেন।
-আমি অসুবাধায় থাকতাম না আপনি
অসুবিধায় থাকতেন?
আমার পেটের সন্তান আপনার সম্পদের
ভাগিদার হতো । তাই তাদের দুনিয়ায়
আসা চিরতরে বন্ধ করতে লাইগেশন
করিয়ে দিয়েছেন। ঠিক বলিনি?
-তুমি কি নিজেরে পীর মনে করো?
পরের মনের কথা বলতে চাও? এবার
পীরের কন্ঠে উত্তাপের ঝাঁঝ।
- পীরই শুধু মনের কথা বুঝে আর কেউ
বোঝে না। এই ধারনা মনে পুষে পীর
হয়েছেন। নারীরে অবলা ভাবেন, নারী
অবলা না । তারা মায়াবতী , মমতাময়ী
তাই দুর্বল আর অবলা ভাবেন। না ,
নারী বাঘিনীও । আর এই বাঘিনীদের
থাবা খুব ভয়ঙ্কর। আইজ দেখবেন
নারীর বাঘীনী রূপ। মানুষকে মানুষ
ভাবেন না। ভালোই করেছেন। জবাব
দিবেন রোজ কেয়ামতে এর আগে আজ
নেন আপনের পূণ্যের পুরস্কার।
~
সকিনার মুখ হঠাৎ কঠিন হয়ে গেল। তার
চোখে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে
থাকলো।
এই চেহারা আগে কখনও দেখেনি পীর
সাহেব।
আচমকা তার দেহ মনে অজানা এক
ভীতি ভর করলো। চোখে আগুন জ্বলা
রণমূর্তি রূপি এমন আওরাত সে
দেখেনি। পীর সাহেব অনুভব করলো
তার সারা শরীর যেন অবস হয়ে
যাচ্ছে।
~
এতক্ষন সকিনা কথা বলার সময় তার
ডান হাতটা কোমরের ওপরে শাড়ির
নিচে রেখেছিল ।
হঠাৎ সকিনা সকিনা শাড়ির নিচ
থেকে হাতটা বের করলো।
তার হাতে একটা রিভলবার !
সকিনা এগোতে থাকলো পীর
সাহেবের দিকে।
অবিশ্বাস্য !
সে কি গুলি করবে?
~
সাহায্যের জন্য পীর সাহেব চিৎকার
করতে চাইলো। কিন্তু না। তার গলা
ভয়ে শুকিয়ে গিয়েছে। একটা
আওয়াজও বের হলো না।
সকিনা বিছানার পাশে গিয়ে
দাঁড়ালো। একেবারে কাছ থেকে বাম
বুকের মাঝখানটা লক্ষ্য করে অকম্পিত
হাতে রিভলবারের ট্রিগার টিপলো
সে।
এরপর ধীর পায়ে ঘর থেকে বের হয়ে
নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় সে।
ভাগ্যিস লতিফ তাড়াহুড়ার মধ্যে
রিভলবারটা নিতে ভুলে গিয়েছিল। না
হলে সাপ মারতাম কি দিয়ে?
অনুশোচনার পরিবর্তে আত্মতৃপ্তি
অনুভব করলো সকিনা। তার মনে আবার
সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দেয়, যে সাপ
কাটে তাকে মারলে কি পাপ হয়?
~
ভোর না হতেই বিদ্যুতের গতিতে
ছড়িয়ে পড়ে খবর: পীর-এ-কামেল চান
মাস্তানকে কে বা কারা খুন করেছে।
শোকের মধ্যে ভয়।
ভয়ের মধ্যে মৃদু গুন্জন।
কে করলো এই কাজ?
কে???
~ সমাপ্ত ~
**# মেয়েদের ভালোবাসা যেমনি মধুর
তাদের ঘৃনা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নিজের
লড়াই নিজেকেই লড়তে হয়। আমাদের
সমাজেও এমন কিছু সাপ রয়েছে এ
সাপগুলো সমাজকে অভিশপ্ত করে
তুলেছে প্রতিনিয়ত। প্রয়োজন শুধু ঘুরে
দাঁড়াবার।
,
____ গোধূলী স্বপ
২য় পর্ব
===================
*
লতিফ মুখে হুজুরের কাছে বিয়ের কথা
বলার আগেই সে প্রচার শুরু করে দেয় ।
আমার আদরের জামাইয়ের মনমরা মুখ
সহ্য করতে পারছি না। তাই ঠিক
করেছি আবার তার বিয়ে দেব।পাত্রী
পছন্দ করেই ফেলেছি । আগামী মাসে
বিয়ে।
লতিফ কি বলবে ভেবে পায় না। সত্যি
তার শ্বশুর পীর বটে ! নইলে তার মনের
কথা এভাবে বুঝতো না। লতিফের
ভক্তি-শ্রদ্ধা শত গুণ বেড়ে যায়।।শ্বশুর
ছাড়া কিছু বোঝে না।
এবারও বিয়েতে ধুমধামের কমতি হলো
না। বৌ দেখে লতিফের প্রান জুড়িয়ে
যায়। তার শ্বশুরের পছন্দ আছে বলতেই
হয়।
নারায়নগঞ্জে পাটের কারবার
লতিফের। সেখানেই উঠলো বউ নিয়ে।
শ্বশুর- শ্বাশুড়ী ভেজা চোখে বিদায়
দিলো তাদের।
~
দিনে দিনে দুই বছর গেল , তিন বছর
গেলো। এর মধ্যে কোন সন্তান পেটে
এলো না সকিনার ।তার টলটলে
স্বাস্থ্য, উপযুক্ত বয়স । এ বয়সে সন্তান
না হওয়ার তো কোন কারন নেই।
ডাক্তার দেখানোর জন্য সকিনা
পীড়াপীড়ি করলে আজ কাল করে
সময়ের অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যায়
লতিফ মিয়া। তার ভয় , ডাক্তার যদি
তাকেই এই অবস্থার জন্য দায়ী করেন ।
তখন কি তার কাছে থাকবে সকিনা?
সকিনার কান্নাকাটিতে অতিষ্ট হয়ে
ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে রাজী
হয় । ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা -
নীরিক্ষা করে যা বললেন তাতে
মাথায় আকাশ ভেঙে পরলেও এতো
কষ্ট পেত না সকিনা। কিন্তু এখন তো
কিছু করারও নেই।
ডাক্তারের কথা হেসে উড়িয়ে দেয়
লতিফ মিয়া।
তোমারও কি তা-ই মনে হয়? আমার তা
মনে হয় না। কে কাটবে তোমার
নাড়ী ? কেন কাটবে? মাথা কি
খারাপ হইছে কারো?
~
মাঘী পূর্ণিমার দিন ঘনিয়ে এসেছে।
সবাই একে একে আস্তানায় আসতে শুরু
করেছে।
সকিনাকে নিয়ে দুদিন আগে আসে
লতিফ।
ছেলেমেয়েরা বাপকে পেয়ে আনন্দে
লাফিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে।মায়ের
কাছে তারা আসে না। সকিনার
ভেতরটা পুড়ে যায় ,মুখে কিছু বলতে
পারে না। পীর প্রভাবিত মহলে মনের
কথা বলা পাপ।
শিরনি-সালাত সেরে যার যার মতো
চলে যায়। লতিফ আরো দুদিন থাকতো।
কিন্তু খবর আসে পাটের গুদমে আগুন
লেগেছে। তাই তাকে তড়িঘড়ি করে
চলে যেতে হলো।
ধনী এক তামাক ব্যবসায়ি ,পীর
সাহেবের অনেক হাতে পায়ে ধরে তার
মেয়ের বিয়েতে পীরমাকে নিয়ে
গেলেন । বাধ্য হয়ে সকিনাকে থাকতে
হলো বাড়িতে।
সকিনা অনেক ভেবেও তার
প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজে পায় না। মনটা
পুড়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কেন তাকে
ওই শাস্তি দেওয়া হলো? কেন তাকে
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চাওয়া থেকে বঞ্চিত
করা হলো? সাপের মতো ফুসতে থাকে
সে। যদি বিষধর সাপ কাউকে কাটে ওই
সাপকে মেরে ফেলা কি অন্যায়?এই
প্রশ্নে ক্ষতবিক্ষত সকিনার মন।
~
মাঘের কুয়াশায় জড়ানো জমাট বাধা
অন্ধকার রাত। চারদিক নিস্তব্ধ । রাত
বারোটায় হুজুর আসন ঘর থেকে অন্দর
মহলে আসেন । লেবাস পোশাক ছেড়ে
শুতে যাবে এমন সময় সকিনা এসে
দরজায় দাড়ালো।
-বাবা, বাবা কি শুয়ে পড়েছেন?
-না মা ,কেন?
ভেতরে আসবো । আপনার সঙ্গে একটা
কথা ছিলো।
-এসো, ভিতরে এসো।
সকিনা ঘরে আসতেই পীর সাহেব
বিছানায় শুয়ে বললেন, বলো, কি কথা?
-বাবা , আপনি এতো লোকের জন্য
দোয়া করেন , আামার জন্য দোয়া
করেন না? আজ এসেছি দোয়া ভিক্ষা
চাইতে।
-কেন, কিসের অভাব তোমার? কিসের
জন্য দোয়া?
- আমার কোল জুড়ে কেউ আসছে না
কেন?
-আসবে, আসবে, খাস দিলে দোয়া
করছি।
-তাই? দোয়া করছেন? বাবা, আমার
পেটে একটা কাটা দাগ আছে । তা
কিসের?
-তোমার খুব কঠিন অসুখ হয়েছিল।
পেটে টিউমার ছিল। তা ফেলে দেয়া
হয়েছে। না হলে তুমি সারা জীবন খুব
অসুবিধায় থাকতে।এ কথা বলে পীর
সাহেব মুখ ঘুড়িয়ে রাখলেন।
-আমি অসুবাধায় থাকতাম না আপনি
অসুবিধায় থাকতেন?
আমার পেটের সন্তান আপনার সম্পদের
ভাগিদার হতো । তাই তাদের দুনিয়ায়
আসা চিরতরে বন্ধ করতে লাইগেশন
করিয়ে দিয়েছেন। ঠিক বলিনি?
-তুমি কি নিজেরে পীর মনে করো?
পরের মনের কথা বলতে চাও? এবার
পীরের কন্ঠে উত্তাপের ঝাঁঝ।
- পীরই শুধু মনের কথা বুঝে আর কেউ
বোঝে না। এই ধারনা মনে পুষে পীর
হয়েছেন। নারীরে অবলা ভাবেন, নারী
অবলা না । তারা মায়াবতী , মমতাময়ী
তাই দুর্বল আর অবলা ভাবেন। না ,
নারী বাঘিনীও । আর এই বাঘিনীদের
থাবা খুব ভয়ঙ্কর। আইজ দেখবেন
নারীর বাঘীনী রূপ। মানুষকে মানুষ
ভাবেন না। ভালোই করেছেন। জবাব
দিবেন রোজ কেয়ামতে এর আগে আজ
নেন আপনের পূণ্যের পুরস্কার।
~
সকিনার মুখ হঠাৎ কঠিন হয়ে গেল। তার
চোখে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে
থাকলো।
এই চেহারা আগে কখনও দেখেনি পীর
সাহেব।
আচমকা তার দেহ মনে অজানা এক
ভীতি ভর করলো। চোখে আগুন জ্বলা
রণমূর্তি রূপি এমন আওরাত সে
দেখেনি। পীর সাহেব অনুভব করলো
তার সারা শরীর যেন অবস হয়ে
যাচ্ছে।
~
এতক্ষন সকিনা কথা বলার সময় তার
ডান হাতটা কোমরের ওপরে শাড়ির
নিচে রেখেছিল ।
হঠাৎ সকিনা সকিনা শাড়ির নিচ
থেকে হাতটা বের করলো।
তার হাতে একটা রিভলবার !
সকিনা এগোতে থাকলো পীর
সাহেবের দিকে।
অবিশ্বাস্য !
সে কি গুলি করবে?
~
সাহায্যের জন্য পীর সাহেব চিৎকার
করতে চাইলো। কিন্তু না। তার গলা
ভয়ে শুকিয়ে গিয়েছে। একটা
আওয়াজও বের হলো না।
সকিনা বিছানার পাশে গিয়ে
দাঁড়ালো। একেবারে কাছ থেকে বাম
বুকের মাঝখানটা লক্ষ্য করে অকম্পিত
হাতে রিভলবারের ট্রিগার টিপলো
সে।
এরপর ধীর পায়ে ঘর থেকে বের হয়ে
নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় সে।
ভাগ্যিস লতিফ তাড়াহুড়ার মধ্যে
রিভলবারটা নিতে ভুলে গিয়েছিল। না
হলে সাপ মারতাম কি দিয়ে?
অনুশোচনার পরিবর্তে আত্মতৃপ্তি
অনুভব করলো সকিনা। তার মনে আবার
সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দেয়, যে সাপ
কাটে তাকে মারলে কি পাপ হয়?
~
ভোর না হতেই বিদ্যুতের গতিতে
ছড়িয়ে পড়ে খবর: পীর-এ-কামেল চান
মাস্তানকে কে বা কারা খুন করেছে।
শোকের মধ্যে ভয়।
ভয়ের মধ্যে মৃদু গুন্জন।
কে করলো এই কাজ?
কে???
~ সমাপ্ত ~
**# মেয়েদের ভালোবাসা যেমনি মধুর
তাদের ঘৃনা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে নিজের
লড়াই নিজেকেই লড়তে হয়। আমাদের
সমাজেও এমন কিছু সাপ রয়েছে এ
সাপগুলো সমাজকে অভিশপ্ত করে
তুলেছে প্রতিনিয়ত। প্রয়োজন শুধু ঘুরে
দাঁড়াবার।
,
____ গোধূলী স্বপ
No comments:
Post a Comment