Wednesday, May 16, 2018

Body Hiter II দিনলিপিঃ “হুন্না লিবাস বডি হিটার!”

দিনলিপিঃ
“হুন্না লিবাস বডি হিটার!”
-
বডি হিটার।
মানে যা শরীরকে গরম করে।
উত্তাপ দেয়। উষ্ণ করে।
স্ত্রীর ভূমিকা কী, বডি হিটিং, স্বামীর শরীর গরম করা?
সোজাসাপটা উত্তর দিতে গেলে, অবলীলায় বলতে হবে:
= জ্বি, স্ত্রীর অন্যতম একটা কাজ হলো, স্বামীকে গরম করা।
তবে উল্টোটাও সত্যি। স্বামীর একটা ভূমিকাও তাই।
স্ত্রীর বডি ‘হট’ করা।
দু’জনের মধ্যেই আল্লাহ হিটিং সিস্টেম ফিট করে দিয়েছেন।
উঁহু! এটা আমার কথা নয়।
-কার কথা?
-স্বয়ং আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) এর কথা। তাও যার তার সম্পর্কে নয়, খোদ নবীজি (সাঃ) সম্পর্কে।
আপনি কোথাকার এত ‘রুচিবাগীশ’ চলে এসেছেন!
ওরে আমার লাজুক শর্মিলী রে!
সুন্নাতের আলোচনায় শরম?
সুন্নাত পালনে শরম?
.
একটা গল্প শোনা যাক!
গল্পটা সবার জানা।
তারপরও আরেকবার হলে ক্ষতি নেই!
= হুযুর ওয়াজ করতে গিয়েছেন। গ্রামে। ধানী ফসল উঠেছে।

Memories II স্মৃতি by sshila

আমি ডানা ঝাপটানো একটি নিঃসঙ্গ
বিহঙ্গ যেন,
টর্নেডো ভেঙেছে কপাট,
ভূমিকম্প গুড়িয়ে ঘর,
সুনামীর তীব্র স্রোতে উঠেছে ভয়াল
ঝড়।
মনের গভীরে চোখের জল ঝড়ে ঝড়ে
হয়ে গেল যেই নদী,
ধীরে ধীরে বাড়ছে সে নদীর জল, এই
প্লাবন এলো বলে,,,
কোন মায়াবী খাঁচায় তো তোমাকে
পুরে রাখিনি,
তুমি মুক্ত বিহঙ্গ, উড়ে যাও যেখানে
চাও।
আমি বড়জোড় লিখতে পারি একঝাক
চিঠি।
প্রেমের অনন্তলোক ছুঁয়ে,
আমার চিঠিগুলো কাগজের পতঙ্গ হয়ে,
একের পর এক ঢুকে পড়বে তোমার
জানালা গলে
দুর্নিবার পূর্ণিমার আকাশ ছেঁয়ে
দেবে তমশায়,
নিশি জাগা তুমি আর তোমার নতুন
তুমি
নিশ্চিত বঞ্চিত হবে জোছনার মাধুরী
থেকে।
আমার আকাশেও এখন আর চাঁদ ওঠেনা,
এই ভয়ার্ত আঁধারে কার কাছে যাব
আমি, তোমাকে ছাড়া?
সেই তুমিই রয়েছ ফিরে, হয়েছ বৈরী,
অসহায় আমি আজ আকাশের মত একলা।
তোমার কাছে ফিরে যাবার আর কোন
পথ নেই তো খোলা।
এখন হাতড়ে বেড়াই,
কেবলই স্মৃতি, কেবলই স্মৃতি, কেবলই
স্মৃতি,
বারবার মনে পড়ে একটি মায়া মুখ!

Saturday, May 12, 2018

Love V/S Love II ভালোবাসা ও প্রেমের পার্থক্য by sshila

একটা মেয়ের শরীরের গন্ধ তোমার ভালো লাগে,এটা হচ্ছে প্রেম ।
আরেকটা মেয়ে আছে যাকে তুমি অনুভব করো । যাকে ভালো লাগার জন্য তার উপস্থিতি কিংবা শরীরের গন্ধ লাগে না । এটা হচ্ছে ভালোবাসা!
একটা মেয়ের সাথে রুমডেট করলে তুমি আনন্দ পাও। আরেকটা মেয়ে আছে যার কথা ভাবলেই তুমি আনন্দ পাও । প্রথমজন হচ্ছে তোমার প্রেমিকা । আর দ্বিতীয়জন হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষ!
তোমার বন্ধু মহলে একটা মেয়ে আছে যার সাথে তুমি গাঘেঁষে বসার জন্য অস্থির হয়ে থাকো । এই মেয়েটা হচ্ছে তোমার কামনার বস্তু ।
ঠিক একইভাবে তোমার মস্তিস্কের অন্দরমহলে একটা মেয়ে আছে যার সাথে গাঘেঁষে বসার জন্য তুমি অস্থির না । কিন্তু তার অনুপস্থিতির জন্য তুমি অস্থির । তার সাথে কথা বলার জন্য তুমি অস্থির । এই মেয়েটা হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষ!
একটা মেয়ের উলঙ্গ ছবি দেখার জন্য সবসময় তুমি অপেক্ষা করো । আরেকটা মেয়ে আছে যার উলঙ্গ ছবি তোমার মাথাতেও আসে না । চাইলেও তুমি আনতে পারো না । প্রথমজন হচ্ছে তোমার প্রেমিকা । পরের জন হচ্ছে তোমার ভালোবাসা!
একটা মেয়ের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলার পরও তুমি মেয়েটার কথা সেভাবে চিন্তা করো না । সবকিছু ফোনের ওই কথা বলা পর্যন্তই! কিন্তু এমন একজন মানুষের অস্তিত্ব তোমার জীবনে আছে,যার সাথে সারাক্ষণ ফোনে কথা না বলেও সবসময়ই তুমি তার কথা ভাবো । প্রথমজন তোমার সময় কাটানোর প্রেমিকা । আর পরেরজন তোমার ভালোবাসার মানুষ!
কোন মেয়ে তোমার সাথে ইগো দেখালে তুমিও তার সাথে সমানতালে ইগো দেখাও । কিন্তু তোমার জীবনে এমন একজন মানুষ আছে যার শত অবহেলাতেও তুমি তার সাথে ইগো দেখাতে পারো না । প্রথমজন তোমার প্রেমিকা । পরের জন তোমার ভালোবাসা!
মেডিকেল সায়েন্স প্রেম আর ভালোবাসার ডেফিনেশন দিতে গিয়ে পার্থক্যটা তুলে ধরেছে এভাবে-
"শারীরিক আনন্দ কেটে যাবার পরেও যদি কোনো মানুষের সাথে তোমার আজীবন থাকতে ইচ্ছে করে, তাইলে সেটা হচ্ছে ভালোবাসা । আর যদি সেরকম কোনো ইচ্ছে না আসে তাহলে ব্যাপারটা ছিল প্রেম।"
মজার ব্যাপার হচ্ছে,পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ প্রেমকে ভালোবাসা বলে চালিয়ে দেয় । প্রেম করতে করতে তারা একসময় ভালোবাসা টাকেই হারিয়ে ফেলে। সারাদিন অনলাইনে মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করতে থাকা ছেলেটাও একসময় ক্লান্ত হয়ে ক্ষান্ত দেয় ইনবক্সের নোংরা আলাপে । আর ভাবতে থাকে মাথার ভেতরে ঘুরতে থাকা মেয়েটাকে ।
হ্যাঁ,শারীরিক আকর্ষন অনেকের প্রতিই থাকতে পারে কিন্তু মনের টানটা থাকে একজনের প্রতিই । সেই একজনই হচ্ছে ভালোবাসার মানুষ আর বাকিরা হচ্ছে প্রেমিকা ।
কিন্তু অনেকের সাথে প্রেম চালিয়ে যাওয়া ছেলেটা কখন যে নিজের অজান্তে ভালোবাসা ব্যাপারটাকে কবর দিয়ে দেয় তা সে নিজেও জানে না । যখন জানে তখন আর কিছু করার থাকে না ।সৃষ্টিকর্তা  এইসব মানুষদের কপাল থেকে ঘষে ঘষে চার অক্ষরের "ভালোবাসা" শব্দটা তুলে নেন । সেই জায়গায় লিখে দেন দুই অক্ষরের "প্রেম" । এই কারনে যার প্রেম হয় তার শুধু প্রেমই হয় । একটা পর একটা এবং চলতেই থাকে ।
প্রেমটা হচ্ছে ড্রাগের মতো ।
ভালোবাসাটা অমৃতের মতো ।
তুমি ভালোবাসায় বাঁচতে শেখো । প্রেমে নয়!

Thursday, May 10, 2018

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিস্তারিত বর্ননা ও পৃথিবীতে এর অবস্থান।

বিশ্বের স্যাটেলাইট ক্ষমতাধর ৫৭তম দেশ হিসেবে পরিচিত হওয়ার ঐতিহাসিক দিনের অপেক্ষায় ক্ষণগণনা চলছে। ২০১৫ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ নির্মাণ চুক্তির পর কথা ছিলো ২০১৭ সালেই সেটি মহাকাশে পৌঁছে যাবে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেবছরও উৎক্ষেপণের নির্ধারিত দিনও পার হয়ে যায়। এরপর ছয়বার উৎক্ষেপণের তারিখ পরিবর্তন করে অবশেষে আগামী ১০ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মহাকাশ যাত্রা শুরুর বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ এবং উৎক্ষেপণের দায়িত্ব পাওয়া মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ প্যাড থেকে ১০ মে স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় (বাংলাদেশ সময় ১১ মে, রাত ৩টা) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে মহাকাশে পৌঁছে দিতে উড়াল দেবে স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন নাইন’ রকেটের একটি নতুন সংস্করণ।
অপেক্ষার এই সময়টায় একনজরে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশের মহাকাশ যাত্রার স্বপ্ন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন, স্যাটেলাইট, স্যাটেলাইটটি নির্মাণ, উৎক্ষেপণকারী রকেট এবং মহাকাশে পৌঁছানোর পর কাক্সিক্ষত সুবিধা অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আদ্যোপান্ত।
মহাকাশে বাংলাদেশ স্বপ্নের সূচনা
১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মহাকাশজয়ের সূচনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু সেবছর ১৫ আগস্ট তাকে স্বপরিবারে হত্যার পর আর সব এগিয়ে চলার মতো এই যাত্রাও থেমে যায়। এরপর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তৎকালীন সরকার থমকে যাওয়া সেই যাত্রার প্রাথমিক শুরুটা করলেও ২০০১ সালে সরকার বদলে তা আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু ২০০৯ এবং ২০১৪ পর পর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ অবশেষে বাংলাদেশের মহাকাশ যাত্রার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ পায়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণ চুক্তি
২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, স্যাটেলাইটের কাঠামো, উৎক্ষেপণ-ব্যবস্থা, ভূমি ও মহাকাশের নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থা, ভূ-স্তরে দুটি স্টেশন পরিচালনা সহায়তা ও ঋণের ব্যবস্থা করবে ফ্রান্সের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।  ফ্রান্সের থুলুজে স্যাটেলাইটটির মূল কাঠামো তৈরির কথা দেয় থ্যালেস।
অর্থায়ন
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি।
কেনা হয় কক্ষপথ
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ কেনা হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচিতি
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ কৃত্রিম উপগ্রহটি একটি জিও-স্টেশনারি স্যাটেলাইট বা ভূস্থির উপগ্রহ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ২৬ কু-ব্যান্ড এবং ১৪ সি-ব্যান্ড মিলিয়ে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে।
মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রক্রিয়া দেশের বাইরে সম্পন্ন হলেও গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পরিচালনায় বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট কোম্পানি
মহাকাশে উৎক্ষেপণের পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনা, সফল ব্যবহার ও বাণিজ্যিক কার্যত্রমের জন্য ইতিমধ্যে সরকারি মালিকানাধীন ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। নতুন এই কোম্পানিতে কারিগরী লোকবল নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান ও উৎক্ষেপণকারী রকেট
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণ করে এবছরের ৩০ মার্চ একটি বিশেষ উড়োজাহাজে উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে দেয় থ্যালাম অ্যালেনিয়া স্পেস। মার্কিন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে কেনেডি স্পেস সেন্টারে স্পেসএক্সের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে উড়বে ‘ফ্যালকন নাইন’ রকেট।
উৎক্ষেপণের সবচেয়ে বড়ধাপ পার 
স্যাটেলাইটটি বহনকারী ফ্যালকন নাইন রকেটের ‘স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট’ সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স। ৫ মে নিজস্ব টুইটার পেজে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
টুইটবার্তায় বলা হয়:বাংলাদেশের প্রথম জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশনস কৃত্রিম উপগ্রহের আগামী সপ্তাহের উৎক্ষেপণকে সামনে রেখে ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। বাহনটি যাত্রার জন্য ভালো অবস্থায় আছে। পরীক্ষার ডেটা রিভিউ করতে আরও কয়েকদিন লাগবে। রিভিউ শেষ হলেই উৎক্ষেপণের তারিখ নিশ্চিত করা হবে।
উৎক্ষেপণ সফল হলে যেসব সুবিধা দিতে পারে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার পর কক্ষপথে গিয়ে কার্যকর হয়েছে কিনা বুঝতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে। সব কিছু সফল হলে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) সেবা, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার এবং ইন্টারনেট সুবিধাসহ ৪০ টি সেবা দিতে পারবে। দেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের কাছে ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রির মাধ্যমে বছরে দেশের টাকা দেশেই থাকবে, বিদেশি নির্ভরতা কমবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ট্যারিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল রাখবে, দেশের দুর্গম দ্বীপ, নদী ও হাওর এবং পাহাড়ি অঞ্চলে স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা চালুও সম্ভব হবে।
উৎসবের প্রতীক্ষা-প্রস্তুতি
বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে সফল উৎক্ষেপণের পর রাজধানীর উল্লেখযোগ্য এলাকায় আতশবাজির উৎসব শুরু হবে। এছাড়া থাকবে ডিজিটাল আলোকসজ্জার প্রস্তুতি। একই সঙ্গে সব জেলায়ও এ উপলক্ষে উৎসব হবে। সব মিলে অনুষ্ঠান আয়োজনে ১৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। তবে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে বিটিআরসি থেকে সহায়তা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশের উদ্যোগও নেবে ডাক অধিদপ্তর।
ছবি: থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস এবং স্পেসএক্স ওয়েবসাইট

Wednesday, May 09, 2018

ভন্ড পীর দেওয়ানভাগী সম্পর্কে কিছু সত্যি কথা যা জানলে আপনি অভাক হয়ে যাবেন।

‘‘নাম মাহবুব এ খোদা, সর্বস্তরে দেওয়ানবাগী নামে পরিচিত। জন্ম ২৭ শে অগ্রহায়ন ১৩৫৬ বাংলা মোতাবেক ১৪ ই ডিসেম্বর ১৯৪৯ ইংরেজী। জন্মস্থান ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয় জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে। পিতা সৈয়দ আব্দুর রশিদ সরদার। মাতা জোবেদা খাতুন । ছয় ভাই দুই বোন। ভাইদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
এক নজরে দেওয়ানবাগীর লেখা এবং বলা কিছু আকিদা ও উক্তি এবং একই সাথে আকিদা ও উক্তিগুলোর রেফারেন্সও দেয়া হল। বি.দ্র.- দয়া করে প্রতিটা আকিদা ও উক্তি পড়ার পর "নাউজুবিল্লাহ" বলতে ভুলবেন না। “আমার অসংখ্য মুরিদান স্বপ্ন ও কাশফের মাধ্যমে আল্লাহর দীদার লাভ করেছে। আমার স্ত্রী হামিদা বেগম ও আমার কন্যা তাহমিনা এ খোদা স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহকে দাড়ী গোফ বিহীন যুবকের ন্যায় দেখতে পায়।” –(সূত্র: আল্লাহ কোন পথে-২৩)। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন “শুধু আমি নই, আমার স্ত্রী কন্যা সহ লক্ষ্য লক্ষ্য মুরিদানও আল্লাহকে দেখেছেন”–সূত্র: (সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ)। “দেওয়ানবাগে আল্লাহ ও সমস্ত নবী রাসূল, ফেরেস্তারা মিছিল করে এবং আল্লাহ নিজে শ্লোগান দেন।”– সূত্র: (সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ, মার্চ ১৯৯৯ ইং)। “আমি এক ভিন্নধর্মের লোককে ওজীফা ও আমল বাতলে দিলাম। ক’দিন পর ঐ বিধর্মী স্বপ্নযোগে মদিনায় গেল। নবীজীর হাতে হাত মিলালো। নিজের সর্বাঙ্গে জিকির অনুভব করতে লাগলো। তারপর থেকে ওই বিধর্মী পপ্রত্যেক কাজেই অন্তরে আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে থাকে।”– সূত্র: (মানবেতর নির্দেশিকা: ২৩, সূফী ফাউন্ডেশন, ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা) “কোনো লোক যখন নফসীর মাকামে গিয়ে পৌঁছে, তখন তাঁর আর কোনো ইবাদাত লাগেনা।” – সূত্র: (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ কোন পথে, পৃ- ৯০)। “জিব্রাইল বলতে আর কেও নন, স্বয়ং আল্লাহ-ই জিব্রাইল।” –সূত্র: (মাসিক আত্মার বাণী, ৫ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা ২১) “সূর্যোদয় পর্যন্ত সাহরী খাওয়ার সময়। সুভে সাদেক অর্থ প্রভাতকাল। হুজুরেরা ঘুমানোর জন্য তারাতারি আযান দিয়ে দেয়। আপনি কিন্তু খাওয়া বন্ধ করবেন না। আযান দিয়েছে নামাজের জন্য। খাবার বন্ধের জন্য আযান দেয়া হয়না।” –সূত্র: (মাসিক আত্মার বাণী, সংখ্যা: নভেম্বর- ৯৯, পৃ- ৯) “মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুপর্যন্ত হাঅয়তে জিন্দেগীকে পুলসিরা বলা হয়।” –সূত্র: (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ কোন পথে, তৃতীয় সংস্করন: ৬০)। “আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে আত্মা এক বিচ্ছেদ যাতনা ভোগ করতে থাকে। প্রভূর পরিচয় নিজের মাঝে না পাওয়া অবস্থায় মৃত্যু হলে সে বেঈমান হয়ে কবরে যাবে। তখন তাঁর আত্মা এমন এক অবস্থায় আটকে পড়ে যে, পুনরায় আল্লাহর সাথে মিলনের পথ খুঁজে পায়না। আর তা আত্মার জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক। আত্মার এরূপ চিরস্থায়ী যন্ত্রনাদায়ক অবস্থাকেই জাহান্নাম বা দোযোখ বলা হয়।” –সূত্র: (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ কোন পথে ৪৪)। দেওয়ানবাগী নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন। অতঃপর দরুদে মাহদী রচনা কর্নে। দরুদে মাহদীঃ “আল্লাহুম্মা ছাল্লী আ’লা সাই ওয়ালা আ’লা ইমাম মাহদী রাহমাতাল্লিল আলামীন ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম।”ময়লার স্তূপে অর্ধমৃত ও বিবস্ত্র অবস্থায় রাসুল (সা:) কে দেখেছি। দেওয়ানবাগী ১৯৮৯ সালে নাকি একটি ব্যতিক্রম দেখে ফেলেন। এ স্বপ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি দেখি ঢাকা ও ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থান জুড়ে এক বিশাল বাগান ফুলে- ফলে সুশোভিত। ওই বাগানে আমি একা একা হেটে বা হঠাত বাগানের একস্থানে একটি ময়লার স্তূপ আমার চোখে পড়ে। আমি দেখতে পাই ওই ময়লার স্তূপে রাসুল (সা.) এর প্রানহীন দেহ মোবারক পড়ে আছে। তাঁর মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা মোবারক হাটুতে ভাজ হয়ে খারা অবস্থায় রয়েছে। আমি তাকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। আমি এগিয়ে গিয়ে তাঁর বাম পায়ের হাটুতে আমার ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করলাম। সাথে সাথেই তাঁর দেহ মোবারকে প্রাণ ফিরে এল। তিনি চোখ মেলে আমার দিকে তাকালেন। মূহুর্তের মধ্যেই রাসূল (সা:) সুন্দর পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে গেলেন। তিনি উঠে বসে হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, হে ধর্মপূনর্জীবন দানকারী! ইতিমধ্যেই আমার ধর্ম আরো পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে। একথা বলে রাসূল (সা:) উঠে দাঁড়িয়ে হেটে হেটে সাথে চলে এলেন। এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল।” – সূত্র: (দেওয়ানবাগীর স্বরচিত গ্রন্থ “রাসূল স. সত্যিই কি গরীব ছিলেন?” ১১-১২ প্রকাশকাল: জুন ১৯৯৯।

  দেওয়ানবাগী তার বই এবং বিতর্কিত পত্রপত্রিকার পক্ষে বিশিষ্টজনদের প্রশংসা ও অভিনন্দন বার্তা প্রকাশ করেছেন নানা সময়। বিশিষ্টজনদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী, মন্ত্রী, এমপিরাও রয়েছেন। তবে যাদের নামে প্রশংসা বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে তাদের প্রায় সকলেই পরে জানিয়েছেন, দেওয়ানবাগী তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ, শামিম ওসমান, ফজলে রাব্বি, শামসুজ্জামান দুদুসহ অনেকেই দেওয়ানবাগীর শাস্তিও দাবি করেছিলেন। তার জালিয়াতি প্রমাণের জন্যে ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তের ফলাফল আজ অবধি জানা যায়নি। অনেকেই মনে করেন, সে সময়ের তদন্ত রিপোর্ট ধামাচাপা পড়ার নেপথ্য কারণ হলো এমপি, মন্ত্রী, আমলাসহ অনেক ধনকুবের সাথে দেওয়ানবাগীর সখ্যতা। দেওয়ানবাগীর অপকর্ম এবং ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস পরিপন্থি কর্মকা-ের বিরুদ্ধে প্রথম ১৯৯৯ সালের শেষের দিকে প্রতিবাদ জানায় ঈমান আকিদা সংরক্ষণ কমিটি নামের একটি সংগঠন। সে সময় তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সংঘর্ষে কয়েকজনের প্রাণহানীও ঘটেছিল। সে সময় পুলিশ দেওয়ানবাগীর আস্তানায় হানা দিয়ে ব্যাপক গোলাবারুদ, হাতবোমা, বন্দুক, গুলি, রামদা, কিরিচ, চাকু, বল্লম, চাপাতি উদ্ধার করেছিল এবং তার ৪৩ জন্যে ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছিল।
 দেওয়ানবাগীর বদ-আক্বিদাঃ (হিন্দু-বৌদ্ধদের মত পুনঃজন্ম ও জন্মান্তরবাদে বিশ্বাস করে)


ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর স্বরুপ উন্মোচনের স্বার্থে তার বলা কিছু কথা, তার অপকর্ম এবং তার সম্পর্কে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফতোয়া নিচে তুলে ধরা হলো :
১. “‘দেওয়ানবাগী স্বপ্নে দেখেন ঢাকা এবং ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানে এক বিশাল বাগানে ময়লার স্তূপের উপর বিবস্ত্র অবস্থায় নবীজীর প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে (নাওযুবিল্লাহ)। মাথা দণি দিকে, পা উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা হাঁটুতে ভাঁজ হয়ে খাড়া আছে। আমি উদ্ধারের জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। তাঁর বাম পায়ের হাঁটুতে আমার ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করার সাথে সাথে দেহে প্রাণ ফিরে এল। এবং তিনি আমাকে বললেন, ”হে ধর্মের পুনর্জীবনদানকার ী, ইতিপূর্বে আমার ধর্ম পাঁচবার পুনর্জীবন লাভ করেছে।”
( সূত্র: রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন-দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত )
২. “একদিন ফজরের পর মোরাকাবারত অবস্থায় আমার তন্দ্রা এসে যায়। আমি তখন নিজেকে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় রওজা শরীফের নিকট দেখতে পাই। দেখি রওজা শরীফের উপর শুকনা পাতা এবং আগাছা জমে প্রায় এক ফুট পুরুহয়ে আছে। আমি আরো ল্য করলাম, রওজা শরীফে শায়িত মহামানবের মাথা মোবারক পূর্ব দিকে এবং মুখমণ্ডল দণি দিকে ফিরানো। এ অবস্থা দেখে আমি আফসোস করতে লাগলাম। এমন সময় পাতার নীচ থেকে উঠে এসে এ মহামানব বসলেন। তার বুক পর্যন্ত পাতার উপর বের হয়ে পড়ে। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি দয়া করে আমার রওজা পরিষ্কার করে দেবেন না ? আমি বললাম, জী, দেব। তিনি বললেন, তাহলে দিন না। এভাবে বারবার তিনবার বলায় আমি এক একটা করেপাতা পরিষ্কার করে দেই। এরপর আমার তন্দ্রা ভেঙে যায়।”
( সূত্র: রাসূল কি সত্যিই গরিব ছিলেন-দেওয়ানবাগ থেকে প্রকাশিত )


৩. “দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ও তার মুর্শিদচন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী ইসলামের প্রচারক নির্বাচিত করা হয়।
অত:পর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে একমিছিল বের করে। মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনের_ যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ, দেওয়ানবাগী ও তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেন_ ”মোহাম্মাদী ইসলামের আলো_ ঘরে ঘরে জ্বালো।”
(সূত্র: সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকা- ১২/০৩/৯৯ )
৪. দেওয়ানবাগীর এক পা-চাটা চাকর বলে (নাম মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী,)
“আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আ) নির্মিত মক্কারকাবা ঘর এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) বাবে রহমতে হাজির হয়েছেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সা) বলছেন_”তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্ দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল। আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সা) তার সাথে আছিএবং সর্বণ থাকি। আর কাবা ঘর ও তার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম শাহ্দেওয়ানবাগী প্রচার করতেছেন।
আমি যুক্তি খণ্ডনে যাবো না ।শুধু আপনাদের উপর বিষয়গুলো ছেড়ে দিলাম । কতো বড় ভণ্ড হলে এরকম বলতে পারে । একটা কথাও কোরআন হাদীস কিংবা ইজমা কিয়াসের ভিত্তিতে নয় । সব মনগড়া ।
৫) ভণ্ড পীরের কিছু লোমহর্ষক তথ্য :
“তথাকথিত ছুফী সম্রাট দেওয়ানবাগী পীর জাল দলিলের মাধ্যমে জোর পূর্বক কয়েক কোটি টাকার জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল গফুর। গত কয়েকমাস আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে মহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের পিছনে ১৪২/১ দক্ষিণ কমলাপুরে ৮০ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে। জমিটি ক্রয়ের পর থেকেই তথাকথিত পীর দেওয়ানবাগী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখলের পাঁয়তারা করে আসছিল। ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর সন্ত্রাসী বাহিনী গত ২০০২ সালে রাতের অন্ধকারে বাড়ির ভাড়াটিয়াদের জোর পূর্বক বেরকরে জমিটি দখল করে নেয়। ভূমি অফিসের কিছু অসাধু অফিসারে সাথে অবৈধ লেনদেন করে তিনি কাগজপত্র তৈরি করেন। জমি দখলের বিরুদ্ধে জজ কোর্টে মামলা করলে কোর্ট গত ২০০৩ সালে স্থগিতাদেশ প্রদান করে। উল্লেখ্য যে দেয়ানবাগীও তার সন্ত্রাসীচক্র উক্ত বাড়িতে বর্তমানে উটের খামার করে। এখন নিয়মিত শতাধিক সন্ত্রাসী সেখানে অবস্থান করে। তার সন্ত্রাসী বাহিনী মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য নিয়মিত মোবাইলে হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে মতিঝিল থানায় একাধিক জিডি করা হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, উক্ত জমির উপর আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরেও গত ১৪ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীকে সমাধি করা হয়। তার পালিত সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তিনি মতিঝিল ও আরামবাগ এলাকায় একাধিক বাড়ি দখল করে নিয়েছেন। তাই জমি ফেরত পেতে জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল গফুর প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।” ( দৈনিক সংগ্রাম ) 
৭ , “আমার অসংখ্য মুরিদান স্বপ্ন ও কাশফের মাধ্যমে আল্লাহর দীদার লাভ করেছে। আমার স্ত্রী হামিদা বেগম ও আমার কন্যা তাহমিনা এ খোদা স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহকে দাড়ী গোফ বিহীন যুবকের ন্যায় দেখতে পায়।” (নাউযুবিল্লাহ) –সুত্রঃআল্লাহ কোন পথেঃ২৩
৮ , সাংবাদিক সম্মেলনে সে বলে “শুধু আমি নই, আমার স্ত্রী কন্যা সহ লক্ষ্য লক্ষ্য মুরিদানও আল্লাহকে দেখেছেন” –সুত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ।
৯ , “দেওয়ানবাগে আল্লাহ ও সমস্ত নবী রাসূল, ফেরেস্তারা মিছিল করে এবং আল্লাহ নিজে শ্লোগান দেন।” –সুত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ, মার্চ ১৯৯৯ ইং।
১০ , “আমি এক ভিন্নধর্মের লোককে ওজীফা ও আমল বাতলে দিলাম। ক’দিন পর ঐ বিধর্মী স্বপ্নযোগে মদিনায় গেল। নবিজীর হাতে হাত মিলালো। নিজের সর্বাঙ্গে জিকির অনুভব করতে লাগলো। তারপর থেকে ওই বিধর্মী প্রত্যেক কাজেই অন্তরে আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে থাকে।” (নাউযুবিল্লাহ) –সুত্রঃ মানতের নির্দেশিকাঃ২৩, সূফী ফাউন্ডেশন, ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা।
১১, “কোন লোক যখন নফসীর মাকামে গিয়ে পৌঁছে, তখন তাঁর আর কোন ইবাদাত লাগেনা।” –আল্লাহ কোন পথে,পৃঃ ৯০
১২ ,“জিব্রাইল বলতে আর কেও নন, স্বয়ং আল্লাহ-ই জিব্রাইল।”–সুত্রঃ মাসিক আত্মার বাণী, ৫ম বর্ষ, ১ম সঙ্খ্যাঃ২১
১৩ , “সূর্যোদয় পর্যন্ত সাহরী খাওয়ার সময়। সুভে সাদেক অর্থ প্রভাতকাল। হুজুরেরা ঘুমানোর জন্য তারাতারি আযান দিয়ে দেয়। আপনি কিন্তু খাওয়া বন্ধ করবেন না। আযান দিয়েছে নামাজের জন্য। খাবার বন্ধের জন্য আযান দেয়া হয়না।” (নাউযুবিল্লাহ) –সুত্রঃ মাসিকআত্মার বাণী, সংখ্যাঃ নভেম্বরঃ ৯৯, পৃঃ ৯
“ ১৪ , মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হায়াতে জিন্দেগী কে পুলসিরাত বলা হয়।” –সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথে, তৃতীয় সংস্করনঃ ৬০
১৫ ,“ আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে আত্মা এক বিচ্ছেদ যাতনা ভোগ করতে থাকে। প্রভূর পরিচয় নিজের মাঝে না পাওয়া অবস্থায় মৃত্যু হলে সে বেঈমান হয়ে কবরে যাবে। তখন তাঁর আত্মা এমন এক অবস্থায় আটকে পড়ে যে, পুনরায় আল্লাহর সাথে মিলনের পথ খুঁজে পায়না। আর তা আত্তার জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক। আত্মার এরূপ চিরস্থায়ী যন্ত্রনাদায়ক অবস্থাকেই জাহান্নাম বা দোযোখ বলা হয়।”(নাউযুবিল্লাহ) –আল্লাহ কোন পথেঃ ৪৪
১৬ ,দেওয়ানবাগী নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন। অতঃপর দরুদে মাহদী রচনা করে্ন ।
দরুদে মাহদীঃ (নাউযুবিল্লাহ) “আল্লাহুম্মা ছাল্লী আ’লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা আ’লা ইমাম মাহদী রাহমাতাল্লিল আলামীন ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম। ”
১৭ , ময়লার স্তূপে অর্ধমৃত ও বিবস্ত্র অবস্থায় রাসুল (সাঃ) কে দেখেছি। (নাউযুবিল্লাহ) মীন যালীক
১৮ , দেওয়ানবাগী ১৯৮৯ সালে নাকি একটি ব্যতিক্রমধর্মী স্বপ্ন দেখে ফেলেন। এ স্বপ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন,
“ আমি দেখি ঢাকা ও ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থানজুড়ে এক বিশাল বাগান ফুলে-ফলে সুশোভিত। ওই বাগানে আমি একা একা হেটে বেড়াচ্ছি। হঠাত বাগানের এক স্থানে একটি ময়লার স্তূপ আমার চোখে পড়ে। আমি দেখতে পাই ওই ময়লার স্তূপে রাসুল (সাঃ) এর প্রানহীন দেহ মোবারক পড়ে আছে। তাঁর মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা মোবারক হাটুতে ভাজ হয়ে খারা অবস্থায় রয়েছে। আমি তাকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। আমি এগিয়ে গিয়ে তাঁর বাম পায়ের হাটুতে আমার ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করলাম। সাথে সাথেই তাঁর দেহ মোবারকে প্রাণ ফিরে এল। তিনি চোখ মেলে আমার দিকে তাকালেন। মূহুর্তের মধ্যেই রাসূল (সাঃ) সুন্দর পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে গেলেন। তিনি উঠে বসে হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, হে ধর্ম পূনর্জীবন দানকারী! ইতমধ্যেই আমার ধর্ম আরও পাঁচবার পূনর্জীবন লাভ করেছে। একথা বলে রাসূল (সাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে হেটে হেটে আমার সাথে চলে এলেন। এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল। ” (নাউযুবিল্লাহ)–সুত্রঃ দেওয়ানবাগীর স্বরচিত গ্রন্থ
১৯ , “রাসূল স. সত্যিই কি গরীব ছিলেন?” ১১-১২ প্রকাশকালঃ জুন ১৯৯৯।
  

 নাম মাহবুব এ খোদা। সর্বস্তরে দেওয়ানবাগী নামে পরিচিত। জন্ম ২৭ শে অগ্রহায়ন ১৩৫৬ বাংলা মোতাবেক ১৪ ই ডিসেম্বর ১৯৪৯ ইংরেজী। জন্মস্থান ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে। পিতা সৈয়দ আব্দুর রশিদ সরদার। মাতা জোবেদা খাতুন। ছয় ভাই দুই বোন। ভাইদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ। নিজ এলাকার তাল শহর কারিমীয়া আলীয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজেল পর্যন্ত পরাশুনা করে ছাত্রজীবনের ইতি টানে। ১৯৭১ সালে দেওয়ানবাগী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। স্বাধীনতার পর তাঁর ৩ নং সেক্টরের কমান্ডার শফিউল্লাহ সাহেবের সুপারিশে সেনাবাহিনীর ১৫ নং বেঙ্গল রেজিমেন্টে ইমামতির চাকুরী নেয়। ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরীর হাতে বাইয়াত গ্রহন করেন। পড়ে স্বীয় মুর্শিদের কন্যা হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন। এ সুবাদে শশুরের কাছ থেকে খিলাফত লাভ করেন। এর কিছুদিন পর নারায়নগঞ্জের দেওয়ানবাগ নামক স্থানে আস্তানা গঠন করেন এবং নিজেকে “সুফী সম্রাট” হিসেবে পরিচয় দিয়ে শোহরত লাভ করতে থাকেন। এরপর তিনি মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগ ঢাকা-১০০০ তে “বাবে রহমত” নামে আরেকটি দরবান স্থাপন করেন। এখান থেকে তাঁর তত্ত্বাবধানে এবং নির্দেশে বাবে রহমত মূখপত্র “আত্মার বাণী” সহ বেশ কয়েকটি মাসিক পত্রিকা ও গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

ভন্ড দেওয়ানবাগী সম্পর্কে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফতোয়াঃ
ক. দেওয়ানবাগের পীর নিতান্তই গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট।
খ. ধর্মীয় দীক্ষা গ্রহন করাতো দূরের কথা, এর সাহায্য সহযোগিতা করা, সান্নিধ্যে উঠা-বসা বরং তাঁর সাথে কোন রকম সংশ্রব রাখা হারাম।
গ. আর তাঁর অপপ্রচার প্রতিহত করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।
(১৭৬৭ ইসঃফাঃ সং ও দাওয়াহ/৩/৮৭/৫১২২ তাং ৫/৯/৯১ ইং। )
এত কুকর্মের পরেও বিনা বাধায় তাঁর কাজ সে করে চলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকম বাধার সম্মুখীন না হওয়ায় দিন দিন তাঁর অপশক্তি ক্রমবর্ধমান ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটু খোঁজ নিলে এ রকম আরও হাজার হাজার গাজাখুরী মতবাদ শুনতে পারবেন, যা সেয় প্রতিদিন বিনা দ্বিধায় বলে চলেছেন। (সংগৃহীত)
সকল মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব এ সকল ফেৎনা সম্পর্কে তাওহীদ বাদী ঈমানদার মুসলমানকে সজাগ ও সতর্ক করা। 

ইচ্ছেকরে

ইচ্ছে করলেই এখন আর পঁচিশ
পয়সা দিয়ে লজেন্স
কিনতে পারি না,
পারি না এক টাকা দিয়ে বারোটা
হজমি কিনতে..
খুব ইচ্ছে করে ইকোনো কলম
দিয়ে লিখে কলমটা সাদা শার্টের
পকেটেরাখি কলমটা পকেটে কালি
ছেড়ে দিক নাহ!
তা আর হয়ে উঠে না..
ইচ্ছে করে খাতার উপর
রুলার ধরে লিখি,
যাতে লাইনগুলো বাঁকা না হয় ,
খুব ইচ্ছে করে জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলি,
ক্লাসরুমে বসার জায়গা নিয়ে ঝগড়া করি ৷
ইচ্ছে জাগে মাথায় যথেষ্ঠ তেল
দিয়ে বাম পাশে চুলে সিথি তুলে দিক মা..
ইচ্ছে করে শিক্ষকের ধমক খাই,
আট আনা দামী রঙ্গিন আইসক্রিম খাই,
জাম খেয়ে শার্টে দাগ লাগাই,
ইচ্ছে করে মাত্র দুই টাকা পেয়ে
খুশিতে নাচতে থাকি,
নতুন জামা পেয়ে বন্ধুদের
সবাইকে ডেকে ডেকে দেখাই..
ইচ্ছে করে স্কুলের হোমওয়ার্ক
নিয়ে টেনশন করি,
স্কুল বন্ধ ঘোষণা হওয়ার পর
খুশিতে চিৎকার দিয়ে উঠি,
সহপাঠিদের সাথে অকারণেই
মারামারি করি ৷
দুপুরের প্রচন্ড রৌদে দৌড়াদৌড়ি করি!
কিন্তু…
ইচ্ছেগুলো কখনোই পূরণ হবার নয়..
এই স্বপ্নগুলো যে হারিয়ে
গেছে অনেক আগেই !
অনেক মিস করি আমার ছোটবেলা কে...!!

খুব সহজে ২০১৮ সালের এস,এস,সি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট পেতে হলে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন। স্কুল ওয়াইজ রেজাল্ট। মার্কসীট সহ রেজাল্ট পাবেন কোন জামেলা ছাড়াই। রেজাল্ট পেতে এই লিংক এ ক্লিক করুন। http://eboardresults.com/app/

খুব সহজে ২০১৮ সালের এস,এস,সি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট পেতে হলে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন। স্কুল ওয়াইজ রেজাল্ট। মার্কসীট সহ রেজাল্ট পাবেন কোন জামেলা ছাড়াই।
রেজাল্ট পেতে এই লিংক এ ক্লিক করুন। http://eboardresults.com/app/