চোর
-------------------
*
গভীর রাত । ঘুম ভেঙে যায় নীরবের।
তুলিকে নিরব ভারোবাসে।ইদানীং
তুলির আচরন নিরবের কাছে রহস্যজনক
হয়ে উঠেছে।তুলি নাকি কোন ছেলের
প্রেমে পড়েছে।কথাটি কয়েকবার
নিরবের কানে এসেছে।নিরব শোনা
কথায় বিশ্বাস করেনা।নিজের চোখে
দেখতে চায়, কে সেই বাহাদুর??
'সামনে একবার পেলে হতো, মাংস
থেকে হাড্ডি আলাদা করে দিতাম।'
রাগে ফুসতে থাকে। তার ভালোবাসায়
অন্য কেউ ভাগ বসাবে, এটা চলবে না।
*
সামনে মাসের ১২তারিখে তুলির
জন্মদিন।নিরব মনে মনে অনেক স্বপ্ন
একেছে, এবার সে তুলিকে একটা
ভালো উপহার দেবে।গত বছর তুলি
নিরবকে কয়েকবার বলেছিল । কিন্তু
ওইদিন সে যায়নি।কারণ হাত খালি
ছিল তার।সেদিন মনের দুঃখে
ফার্মাসি থেকেআনা দুটি ঘুমের
ট্যাবলেট খেয়ে ডাটে টানা আঠারো
ঘন্টা ঘুমিয়ে ছিল।
এবার সে গতবারের মত ব্যর্থ হবে না।
এবার তাকে জয়ী হতেই হবে।তুলির
চোখে তার প্রেমিক হয়ে শ্রেষ্ঠত্ব
দেখাতেই হবে।
*
হাতে সময় খুব কম। এমাসে আছে মাত্র
৬দিন।নানান চিন্তা মাথায় ঘুরতে
থাকে। টাকা কোথায় পাবে সে?
পরের দিন স্কুলে গিয়ে প্রাইভেট
টিচারকে বললো, এ মাসে সে পড়বে
না। বাসায় এসে নানান ফন্দি করে
সে। নিজের ঘর থেকে চুরি করে ধান
বিক্রি করে সে। সুযোগ সন্ধানী
ক্রেতা আধা দাম দিয়ে ধান কেনে।
নিরব কিছু বলতে পারে না। রোজ
টিফিন না খেয়ে , এবং হেটে স্কুলে
গিয়ে উপহারের পয়সা জমাতে থাকে।
আর কল্পনায় দেখে সেই শুভ দিনের।
*
দেখতে দেখতে দশ তারিখ পার হয়ে
যায়। আর একটা দিন বাকি। নিরব
রোজ বই নিয়ে প্রাইভেট পড়ার নামে
বেরিয়ে যায়। মাকে মিথ্যা বলে সে।
টিচারের খুব বিপদ তাই তাকে এ মাসে
অগ্রীম দিতে হবে।মানিরবের হাতে
অগ্রিম মাসের টাকা তুলে দেন। সব
মিলিয়ে এক হাজার দুইশ টাকার মত
হলো।সে ভাবে এবার তার সম্পর্কটা
পোক্ত হবে। তুলি এবার নিরবের উপহার
পেয়ে খুশি হবে আর কিপ্টুস বলে
টিটকিরি দেবে না।
*
টাকা নিয়ে নিরব মার্কেটের
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাসে প্রচন্ড ভীর।
ভেতরে দাড়িয়ে সে ভাবলো , এখান
থেকে যদি কিছু টাকা বাচে তাহলে
মায়ের জন্য কিছু একটা কিনবে।
ভীরের ভিতর কয়েকবার পকেটে হাত
দিয়ে দেখলো তার টাকা ঠিক আছে।
*
মার্কেটে ঢুকে নিরবের মাথা খারাপ
হয়ে গেল। এই টাকার মধ্যে ভালো
কোন উপহার পাওয়া গেল না। অবশেষে
মন খারাপ করে ফুটপাত ধরে হাটতে
থাকে। হঠাৎ চোখ পড়ে রাস্তার এক
হকারের দোকানে।বিভিন্ন ধরনের
মুক্তা ও পাথরের নেকলেস ও কানের
দুল। নিরব এক জোড়া নেকলেস পছন্দ
করে অনেক দর কষাকষি করে সাতশ
টাকা স্থীর করলো। কিন্তু পকেটে হাত
দিয়ে নিরব দেখলো পকেট শূন্য।
পাগলের মত সব পকেট হাতরালো সে।
না কোথাও নেই। নিরবের শরীর
ঘামতে থাকে।
দোকানদার মুখ বাড়িয়ে নিরবের
উদ্দেশ্যে কিছু বাজে কথা বললো।
নিরব নীরবে সহ্য করে বাড়ির দিকে
রওনা দিলো। তার পকেটে একটি
টাকাও নেই। ৫কিলোমিটার পথ হাটতে
হাটতে অনেক রাতে বাড়ি ফিরলো
সে।
অনেক রাতে বাড়ি ফেরার কারনে
মায়ের অনেক ঝাড়ি খেতে হলো।
*
বিছানায় বসে বসে নিরব ভাবে এখন
কি করবে সে? কাল তুলির জন্মদিন।
তুলিকে সে খুশি করবে কিভাবে? ছোট
চাচার কাছে গেলে হয়তো কিছু
পাওয়া পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রশ্ন
করবে একগাদা। ছোট চাচাকে একদম
সহ্য করতে পারে না নিরব। তুলিদের
ছাদে গিয়ে তুলির সাথে আড্ডা দিতে
দেখেছে সে আলমচাচাকে। তবুও নিরব
কোন উপায় না পেয়ে আলমের রুমে
গেল।আলম ছিলেন না। কি মনে করে
আলমের ড্রয়ার খুললো নিরব।অনেক
কিছুর ভেতর রঙিন একটি প্যাকেট
পেয়ে খুলে দেখলো একটি সোনার
আংটি। নিরবের চোখের সামনে
ভেসে ওঠে তুলির মিষ্টি মুখখানা।
মুহূর্তে ছোট প্যাকেট থেকে আংটি
লুকোলো নিজের পকেটে। ফিরে এলো
নিজের ঘরে। সারারাত নিরবের ঘুম
হলো না কখন আলম চাচা আংটির জন্য
ওকে চেপে ধরে সে ভয়ে।
*
মা এসে নিরবের রুম তল্লাশী শুরু
করলেন। নিরব বুঝলো যুদ্ধ শুরু হয়ে
গেছে। নিরবের বুক ঢিপ ঢিপ করতে
লাগলো। সাহস সঞ্চয় করে জিজ্ঞেস
করতেই মা বললেন, গতরাতে আলমের
রুম থেকে একটি আংটি চুরি হয়েছে।
তাই তোর ঘর তল্লাশি করছি।
নিরব বললো, চাচা তো আংটি পরেনা।
তিনি তো মিথ্যাও বলতে পারেন।
মা আর খোজাখুজি না করে রুম থেকে
চলে গেলেন।
*
এদিকে আলমের মন খারাপ। নিরবকে
কিছু বললেন না তিনি। আলমের স্বপ্ন
ছিলো আংটি নিজ হাতে তুলির
আঙুলে পরিয়ে দিবেন। খুব পছন্দ করে
কিনেছিল আংটিটা।
*
নিরব গোসল সেরে খুব খুশি মনে নতুন
কাপড় পড়ে তুলিদের বাড়ির উদ্দেশ্যে
বাড়ি থেকে বের হলো।
*
আংটি দেখে তুলি নিরবের মুখের
দিকে তাকিয়ে থাকে।
নিরবও একদৃষ্টে চেয়ে থাকে।
তুলির চোখে দুষ্টুমির হাসি।
আজ তুলিকে খুশি করতে পেরেছে
নিরব।
হঠাৎ আলমচাচাকে তুলিদের বাড়িতে
ঢুকতে দেখে নিরবের এক অজানা ভয়
এলো । নিজেকে লুকালো সে।
আলমকে দেখে তুলি মিট মিট করে
হাসতে থাকে। আলমের হাত ধরে তুলি
তাকে নিজের রুমে নিয়ে যায়।
নিরবের বুক ধপ করে ওঠে । শালার পুত।
*
নিরব চুপিসারে তুলির রুমের জানালা
ঘেষে দাঁড়ালো । কান পাতলো। একটি
ছিদ্র দিয়ে ভেতরে চোখ রাখলো।
আলমের হাতে হাত রেখে তুলি বলছিল ,
-আলম, তোমার উপহার পেয়েছি।
-তার মানে? আলম চোখ তুলে তুলির
দিকে তাকালো।
তুমি বাম হাতটি বাড়িয়ে নিরবের
দেয়া আংটি দেখালো।
আলম জিজ্ঞসু দৃষটিতে তুলির দিকে
তাকালো।
-তোমার ভাতিজা নিরব চুরি করে এনে
আমাকে উপহার দিয়েছে।
- নিরব!
-হ্যা নিরব। নিরবের আনা আংটি
দেখেই বুঝেছি।সে আংটি পাবে
কোথায়।
-আচ্ছা তুলি , আংটি যে চুরি হয়েছে
তুমি জানলে কিভাবে?
-কেন? তোমার বন্ধুর কাছে। যার কাছ
থেকে তুমি টাকা ধার করে আরেকটি
আংটি কিনে এনেছো।
তুলির হাতটি নিজের হাতে আদর করে
আংটি পরিয়ে দিল আলম।
*
নিরব আর কিছু দেখতে চাইলো না।
দ্রুত সটকে পড়লো। বাড়ির দিকে
বিষন্ন মুখে হাটতে হাটতে সে শুধু
ভাবছিলো , হায়রে কপাল, শেষে হলাম
আংটি চোর !
---
গোধূলি স্বপ্ন
-------------------
*
গভীর রাত । ঘুম ভেঙে যায় নীরবের।
তুলিকে নিরব ভারোবাসে।ইদানীং
তুলির আচরন নিরবের কাছে রহস্যজনক
হয়ে উঠেছে।তুলি নাকি কোন ছেলের
প্রেমে পড়েছে।কথাটি কয়েকবার
নিরবের কানে এসেছে।নিরব শোনা
কথায় বিশ্বাস করেনা।নিজের চোখে
দেখতে চায়, কে সেই বাহাদুর??
'সামনে একবার পেলে হতো, মাংস
থেকে হাড্ডি আলাদা করে দিতাম।'
রাগে ফুসতে থাকে। তার ভালোবাসায়
অন্য কেউ ভাগ বসাবে, এটা চলবে না।
*
সামনে মাসের ১২তারিখে তুলির
জন্মদিন।নিরব মনে মনে অনেক স্বপ্ন
একেছে, এবার সে তুলিকে একটা
ভালো উপহার দেবে।গত বছর তুলি
নিরবকে কয়েকবার বলেছিল । কিন্তু
ওইদিন সে যায়নি।কারণ হাত খালি
ছিল তার।সেদিন মনের দুঃখে
ফার্মাসি থেকেআনা দুটি ঘুমের
ট্যাবলেট খেয়ে ডাটে টানা আঠারো
ঘন্টা ঘুমিয়ে ছিল।
এবার সে গতবারের মত ব্যর্থ হবে না।
এবার তাকে জয়ী হতেই হবে।তুলির
চোখে তার প্রেমিক হয়ে শ্রেষ্ঠত্ব
দেখাতেই হবে।
*
হাতে সময় খুব কম। এমাসে আছে মাত্র
৬দিন।নানান চিন্তা মাথায় ঘুরতে
থাকে। টাকা কোথায় পাবে সে?
পরের দিন স্কুলে গিয়ে প্রাইভেট
টিচারকে বললো, এ মাসে সে পড়বে
না। বাসায় এসে নানান ফন্দি করে
সে। নিজের ঘর থেকে চুরি করে ধান
বিক্রি করে সে। সুযোগ সন্ধানী
ক্রেতা আধা দাম দিয়ে ধান কেনে।
নিরব কিছু বলতে পারে না। রোজ
টিফিন না খেয়ে , এবং হেটে স্কুলে
গিয়ে উপহারের পয়সা জমাতে থাকে।
আর কল্পনায় দেখে সেই শুভ দিনের।
*
দেখতে দেখতে দশ তারিখ পার হয়ে
যায়। আর একটা দিন বাকি। নিরব
রোজ বই নিয়ে প্রাইভেট পড়ার নামে
বেরিয়ে যায়। মাকে মিথ্যা বলে সে।
টিচারের খুব বিপদ তাই তাকে এ মাসে
অগ্রীম দিতে হবে।মানিরবের হাতে
অগ্রিম মাসের টাকা তুলে দেন। সব
মিলিয়ে এক হাজার দুইশ টাকার মত
হলো।সে ভাবে এবার তার সম্পর্কটা
পোক্ত হবে। তুলি এবার নিরবের উপহার
পেয়ে খুশি হবে আর কিপ্টুস বলে
টিটকিরি দেবে না।
*
টাকা নিয়ে নিরব মার্কেটের
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাসে প্রচন্ড ভীর।
ভেতরে দাড়িয়ে সে ভাবলো , এখান
থেকে যদি কিছু টাকা বাচে তাহলে
মায়ের জন্য কিছু একটা কিনবে।
ভীরের ভিতর কয়েকবার পকেটে হাত
দিয়ে দেখলো তার টাকা ঠিক আছে।
*
মার্কেটে ঢুকে নিরবের মাথা খারাপ
হয়ে গেল। এই টাকার মধ্যে ভালো
কোন উপহার পাওয়া গেল না। অবশেষে
মন খারাপ করে ফুটপাত ধরে হাটতে
থাকে। হঠাৎ চোখ পড়ে রাস্তার এক
হকারের দোকানে।বিভিন্ন ধরনের
মুক্তা ও পাথরের নেকলেস ও কানের
দুল। নিরব এক জোড়া নেকলেস পছন্দ
করে অনেক দর কষাকষি করে সাতশ
টাকা স্থীর করলো। কিন্তু পকেটে হাত
দিয়ে নিরব দেখলো পকেট শূন্য।
পাগলের মত সব পকেট হাতরালো সে।
না কোথাও নেই। নিরবের শরীর
ঘামতে থাকে।
দোকানদার মুখ বাড়িয়ে নিরবের
উদ্দেশ্যে কিছু বাজে কথা বললো।
নিরব নীরবে সহ্য করে বাড়ির দিকে
রওনা দিলো। তার পকেটে একটি
টাকাও নেই। ৫কিলোমিটার পথ হাটতে
হাটতে অনেক রাতে বাড়ি ফিরলো
সে।
অনেক রাতে বাড়ি ফেরার কারনে
মায়ের অনেক ঝাড়ি খেতে হলো।
*
বিছানায় বসে বসে নিরব ভাবে এখন
কি করবে সে? কাল তুলির জন্মদিন।
তুলিকে সে খুশি করবে কিভাবে? ছোট
চাচার কাছে গেলে হয়তো কিছু
পাওয়া পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রশ্ন
করবে একগাদা। ছোট চাচাকে একদম
সহ্য করতে পারে না নিরব। তুলিদের
ছাদে গিয়ে তুলির সাথে আড্ডা দিতে
দেখেছে সে আলমচাচাকে। তবুও নিরব
কোন উপায় না পেয়ে আলমের রুমে
গেল।আলম ছিলেন না। কি মনে করে
আলমের ড্রয়ার খুললো নিরব।অনেক
কিছুর ভেতর রঙিন একটি প্যাকেট
পেয়ে খুলে দেখলো একটি সোনার
আংটি। নিরবের চোখের সামনে
ভেসে ওঠে তুলির মিষ্টি মুখখানা।
মুহূর্তে ছোট প্যাকেট থেকে আংটি
লুকোলো নিজের পকেটে। ফিরে এলো
নিজের ঘরে। সারারাত নিরবের ঘুম
হলো না কখন আলম চাচা আংটির জন্য
ওকে চেপে ধরে সে ভয়ে।
*
মা এসে নিরবের রুম তল্লাশী শুরু
করলেন। নিরব বুঝলো যুদ্ধ শুরু হয়ে
গেছে। নিরবের বুক ঢিপ ঢিপ করতে
লাগলো। সাহস সঞ্চয় করে জিজ্ঞেস
করতেই মা বললেন, গতরাতে আলমের
রুম থেকে একটি আংটি চুরি হয়েছে।
তাই তোর ঘর তল্লাশি করছি।
নিরব বললো, চাচা তো আংটি পরেনা।
তিনি তো মিথ্যাও বলতে পারেন।
মা আর খোজাখুজি না করে রুম থেকে
চলে গেলেন।
*
এদিকে আলমের মন খারাপ। নিরবকে
কিছু বললেন না তিনি। আলমের স্বপ্ন
ছিলো আংটি নিজ হাতে তুলির
আঙুলে পরিয়ে দিবেন। খুব পছন্দ করে
কিনেছিল আংটিটা।
*
নিরব গোসল সেরে খুব খুশি মনে নতুন
কাপড় পড়ে তুলিদের বাড়ির উদ্দেশ্যে
বাড়ি থেকে বের হলো।
*
আংটি দেখে তুলি নিরবের মুখের
দিকে তাকিয়ে থাকে।
নিরবও একদৃষ্টে চেয়ে থাকে।
তুলির চোখে দুষ্টুমির হাসি।
আজ তুলিকে খুশি করতে পেরেছে
নিরব।
হঠাৎ আলমচাচাকে তুলিদের বাড়িতে
ঢুকতে দেখে নিরবের এক অজানা ভয়
এলো । নিজেকে লুকালো সে।
আলমকে দেখে তুলি মিট মিট করে
হাসতে থাকে। আলমের হাত ধরে তুলি
তাকে নিজের রুমে নিয়ে যায়।
নিরবের বুক ধপ করে ওঠে । শালার পুত।
*
নিরব চুপিসারে তুলির রুমের জানালা
ঘেষে দাঁড়ালো । কান পাতলো। একটি
ছিদ্র দিয়ে ভেতরে চোখ রাখলো।
আলমের হাতে হাত রেখে তুলি বলছিল ,
-আলম, তোমার উপহার পেয়েছি।
-তার মানে? আলম চোখ তুলে তুলির
দিকে তাকালো।
তুমি বাম হাতটি বাড়িয়ে নিরবের
দেয়া আংটি দেখালো।
আলম জিজ্ঞসু দৃষটিতে তুলির দিকে
তাকালো।
-তোমার ভাতিজা নিরব চুরি করে এনে
আমাকে উপহার দিয়েছে।
- নিরব!
-হ্যা নিরব। নিরবের আনা আংটি
দেখেই বুঝেছি।সে আংটি পাবে
কোথায়।
-আচ্ছা তুলি , আংটি যে চুরি হয়েছে
তুমি জানলে কিভাবে?
-কেন? তোমার বন্ধুর কাছে। যার কাছ
থেকে তুমি টাকা ধার করে আরেকটি
আংটি কিনে এনেছো।
তুলির হাতটি নিজের হাতে আদর করে
আংটি পরিয়ে দিল আলম।
*
নিরব আর কিছু দেখতে চাইলো না।
দ্রুত সটকে পড়লো। বাড়ির দিকে
বিষন্ন মুখে হাটতে হাটতে সে শুধু
ভাবছিলো , হায়রে কপাল, শেষে হলাম
আংটি চোর !
---
গোধূলি স্বপ্ন