Tuesday, December 06, 2016

**অভিমানী**

**অভিমানী**
==================
*
এই তুই এখন কি করছিস রে ? তুই কি এখন
ছাদে উঠতে পারবি?ফিসফিস করে
বলল নিশা।
- কেন?
-বৃষ্টি হচ্ছে।
-হু, দেখছি জানলা দিয়ে।
-দেখা আর ছুঁয়ে দেখা এক কথা নয়।
নীরবকে বোঝাতে চেষ্টা করে নিশা।
-যদি অসুস্থ হয়ে পড়ি।
নিশা হাসল , তারপর বলল, বোকা
ছেলে , বৃষ্টি ছুঁয়ে দেখলে কেউ অসুস্থ
হয়! আমিতো বৃষ্টি হলেই হাত বাড়িয়ে
ছুঁয়ে দেখি।
-এই পাগলী নাছোরবান্দা । তাই নীরব
যুক্তি না খুঁজে ছাদে উঠে পড়লো।
ইলশেগুঁড়ি হচ্ছে।
নীরব নিশার মতো অত রোমান্টিক না ,
তাই তার বিরক্তি লাগছিল।
ধমকের সুরে বলল ,তোর মাথায় কি
মাঝরাতে ভূত চেপেছে? আমার ঘুম নষ্ট
করে ফাজলামো করছিস,তাই না।
আচ্ছা বলতো প্রতিদিন রাতে এভাবে
আমার ঘুম কেন নষ্ট করিস?তোর ঘুম
আসে না বলে জগতের আর কেউ কি
ঘুমাতে পারবে না? নীরবের গলা শুনে
নিশা স্থির হয়ে গেল। কেবল কানে
ভেসে আসছিল বড় বড় নিশ্বাস ফেলার
শব্দ। তারপর ওপাশ থেকে টুট করে শব্দ
এলো।
~
এরপর অনেক বৃষ্টি বেলা
কেটেছে,নিশা আর ফোন করেনি
নীরবকে। বিরক্ত করেনি কারণে
অকারণে। কদম ফুল হাতে দাঁড়াতে
বলেনি স্টেশন রোডের বকুলগাছটার
নিচে। নিশার অভিমান আর নীরবের
কঠোরতা দুজনকেই দুপ্রান্তে নিয়ে
গেল।দুজনের দূরত্ব বেশি নয় , কিন্তু
অভিমানের গভীরতা অনেক বেশি। খুব
বেশি।।

No comments:

Post a Comment