Friday, July 20, 2018

ক্রোয়েশীয় প্রেসিডেন্টের ‘সুন্দর’ মুখের আড়ালে.. Croatia Beautiful President Kolinda Grabar-Kitarović is a ...

বিশ্বকাপ ফুটবলের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশি দর্শকদের বিরাট অংশ হঠাৎ ক্রোয়েশিয়ার সমর্থক বনে যায়। এতে দলটির লড়াকু মনোভাব যেমন প্রভাব রেখেছে, তেমনি দেশটির সুদর্শনা প্রেসিডেন্টের হাসিমাখা মুখচ্ছবিরও জাদু ছিল। অনেক নষ্ট প্রচারমাধ্যম তাঁর ভুয়া অর্ধনগ্ন ছবিও প্রকাশ করেছে নিজেদের কাটতি বাড়াতে এবং হয়তো–বা তরুণদের ক্রোয়েশিয়ামুখী করতে। কিন্তু কে এই কোলিন্দা গ্রাবার-কিতারোবিচ? বাংলাদেশি প্রচারমাধ্যম এবং ফুটবলপ্রেমীরা কতটা জানেন তাঁর অতীত? সামান্য কিছু আলোচনা হোক।
দুই.
২০১৫ থেকে ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই রাজনীতিবিদ ছিলেন মূলত একজন কূটনীতিবিদ। ন্যাটোতে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। কিছু দিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রোয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতও ছিলেন। দেশটির দক্ষিণপন্থী ক্রোয়েশিয়া ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (‘এইচডিজেড’ নামে পরিচিত) সদস্য তিনি। এইচডিজেড গড়েছিলেন কমিউনিস্ট যুগোস্লাভিয়া ভাঙার অন্যতম কারিগর ফ্রানজো ট্রডাম্যান। যে কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের খুব প্রিয় ছিলেন তিনি। সেই এইচডিজেডের আজকের নেতা হলেন কোলিন্দা। কিন্তু এইচডিজেডের ভাবাদর্শের রয়েছে কুৎসিত এক অতীত।
নিচে একটা পতাকা হাতে কোলিন্দা গ্রাবারের ছবি রয়েছে।
প্রায় হুবহু ক্রোয়েশিয়ার পতাকার মতো হলেও এটা আসলে তা নয়। তবে আজকের ক্রোয়েশিয়ার পতাকা অতীতের এই পতাকার ঐতিহ্যেরই ফসল। কোলিন্দার হাতের পতাকার মতো আরেকটি পতাকা নিয়ে ইউরোপে গণহত্যাকারী নাজি বাহিনীর সমর্থক ক্রোয়েটদের ১৯৪১ সালের মিছিল দেখুন পরের ছবিতে।
আজকের ফুটবলপ্রেমী কোলিন্দা গ্রাবার যে এইচডিজেড দল করেন, সেটা সে দেশের ফ্যাসিবাদী ‘উসতাসা’ আন্দোলনের বর্তমান উত্তরাধিকারী। ১৯২৯ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত এরাই হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যা করেছিল। ক্রোয়েট ‘বিশুদ্ধতা’ রক্ষা করতে ‘উসতাসা’ সদস্যরা গণহত্যাকেও সমর্থন করত। যে গণহত্যার টার্গেট ছিল যুগোস্লাভিয়ার সার্ব, ইহুদি, মুসলমান এবং রোমা জিপসিরা। ১৯৪১-৪৫ সময়ে এরা হিটলার ও নাজিদের অন্যতম সহযোগী ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি ও ইতালির যুদ্ধজোটেও ছিল তারা। হিটলারের বাহিনী যুগোস্লাভিয়ার ওই অঞ্চল দখল করে ১৯৪১-এর ১০ এপ্রিল তাদের ক্রোয়েট সহযোগীদের একটি সরকার গড়ে দিয়েছিল, তা চার বছর স্থায়ী হয়। আজকের ক্রোয়েট ফুটবল উত্তেজনায় মিশে আছে সেই রক্তাক্ত অতীত। এখনো ক্রোয়েট ফুটবল দর্শকেরা উত্তেজনার বশে স্লোগান দেয়: ‘ফর দ্য হোমল্যান্ড—রেডি!’ এটাই ছিল উসতাসা আন্দোলনের শপথ। রাজনৈতিক প্রয়োজনেই তাই গ্যালারি থেকে ড্রেসিংরুম পর্যন্ত কোলিন্দা গ্রাবারকে ফুটবল উত্তেজনায় থাকতে হয়েছে। প্রায়ই সুযোগ পেলে তিনি এও বলেন, মার্কো পারকোভিচের ভক্ত তিনি। ক্রোয়েট এই পপগানের শিল্পী ওই অঞ্চলে তরুণদের উগ্র জাতীয়তাবাদে আসক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে তিনি নিষিদ্ধ।
এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ফ্যাসিবাদী অতীত, ফুটবল এবং পপ মিউজিককে ব্যবহার করে কোলিন্দা এখন উগ্র ক্রোয়েট জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। গোপনে তাই তাঁকে অস্ট্রিয়া গিয়ে উসতাসা কর্মীদের একটি গোপন সমাধিক্ষেত্রও সফর করতে হয়েছিল একদা। বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামে যাওয়ার মতোই ফ্যাসিবাদী সহযোদ্ধাদের সমাধিক্ষেত্রকে সম্মান জানানোও তাঁর রাজনীতির জন্য জরুরি ছিল।

তিন.
কোলিন্দাকে এ মুহূর্তে দক্ষিণপন্থী এক বিপ্লবেরই প্রতীক বলা যায় আর তাঁর বড় শক্তি ক্রোয়েট ফুটবল দর্শকদের একাংশ। ক্রোয়েট দর্শকরা আইনগত বাধ্যবাধকতা এড়াতে প্রায় স্টেডিয়ামে নাজিদের স্বস্তিকা চিহ্নসংবলিত পতাকা হাতে না নিয়ে স্বস্তিকার মতো করে গ্যালারিতে বসেন (চতুর্থ ছবি)।

ক্রোয়েট ফুটবলের এই উগ্র জাতীয়তাবাদীরা এবং ক্রোয়েট দশকদের বর্ণবাদী আচরণের জন্য ২০০৬-এ ইউরোপীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দেশটিকে একদা বহিষ্কারেরও উদ্যোগ নিয়েছিল (পঞ্চম ছবি)। ২০০৪-এও একই অভিযোগে ক্রোয়েট ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে জরিমানা করা হয়।
চার
কোলিন্দা গ্রাবার সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য শেয়ার করে এই আলোচনা শেষ করছি—পাঠকেরা তাতে বাড়তি অনুসন্ধানের কিছু খোরাক পাবেন হয়তো। যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত থাকাকালে স্বামী জ্যাকবকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার করতে দিয়ে ধরা পড়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে পদ ছেড়ে এরপর তিনি যোগ দেন ন্যাটো দপ্তরে। আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর ইমেজ বৃদ্ধি এবং সৈনিকদের মনোবল বাড়ানোই ছিল তাঁর মূল দায়িত্ব (ষষ্ঠ ছবি)।
বলা বাহুল্য, আফগানিস্তানে পশ্চিমাদের আগ্রাসনে ক্রোয়েট সৈন্যরাও ছিল এবং আছে। ন্যাটোতে থাকাকালেই কোলিন্দা গ্রাবার যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী (রাজনীতিবিদ?) ডেভিড রকিফেলোর প্রতিষ্ঠিত ‘ট্রাইলেটারাল কমিশন’-এর সদস্য মনোনীত হন। আমেরিকার বৈশ্বিক প্রাধান্য (হেজিমনি) তৈরি এবং ৯/১১–পরবর্তী পরিস্থিতি সৃষ্টির অন্যতম কারিগর এই ‘ট্রাইলেটারাল কমিশন’। এ বিষয়ে অনেকেই নোয়াম চমস্কির (প্রফিট ওভার পিপল) আলোচনার হদিস জানেন হয়তো।
ন্যাটো এবং ‘ট্রাইলেটারাল কমিশন’-এ কাজের অভিজ্ঞতা কোলিন্দা গ্রাবারকে আমেরিকান এস্টাবলিশমেন্টের খুব কাছে নিয়ে এসেছিল। তারই ফসল তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়া। তবে সামাজিক গণতন্ত্রীদের (সোশ্যাল ডেমোক্রেট পার্টি) চেয়ে মাত্র ১ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন তিনি। ব্যবধান আরও বাড়াতে এমুহূর্তে কোলিন্দা নিজেকে ইউরোপজুড়ে বেড়ে ওঠা উগ্র দক্ষিণপন্থী ঢেউয়ে নিজেকে শামিল করেছেন। ট্রাম্প ও পুতিন উভয়েরই ঘনিষ্ঠতা চাইছেন তিনি। টিম-ক্রোয়েশিয়াকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘায়িত করতেও তিনি মরিয়া।
আলতাফ পারভেজ: দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ের গবেষক ও লেখক।

Friday, June 22, 2018

চোর || Thif

চোর
-------------------
*
গভীর রাত । ঘুম ভেঙে যায় নীরবের।
তুলিকে নিরব ভারোবাসে।ইদানীং
তুলির আচরন নিরবের কাছে রহস্যজনক
হয়ে উঠেছে।তুলি নাকি কোন ছেলের
প্রেমে পড়েছে।কথাটি কয়েকবার
নিরবের কানে এসেছে।নিরব শোনা
কথায় বিশ্বাস করেনা।নিজের চোখে
দেখতে চায়, কে সেই বাহাদুর??
'সামনে একবার পেলে হতো, মাংস
থেকে হাড্ডি আলাদা করে দিতাম।'
রাগে ফুসতে থাকে। তার ভালোবাসায়
অন্য কেউ ভাগ বসাবে, এটা চলবে না।
*
সামনে মাসের ১২তারিখে তুলির
জন্মদিন।নিরব মনে মনে অনেক স্বপ্ন
একেছে, এবার সে তুলিকে একটা
ভালো উপহার দেবে।গত বছর তুলি
নিরবকে কয়েকবার বলেছিল । কিন্তু
ওইদিন সে যায়নি।কারণ হাত খালি
ছিল তার।সেদিন মনের দুঃখে
ফার্মাসি থেকেআনা দুটি ঘুমের
ট্যাবলেট খেয়ে ডাটে টানা আঠারো
ঘন্টা ঘুমিয়ে ছিল।
এবার সে গতবারের মত ব্যর্থ হবে না।
এবার তাকে জয়ী হতেই হবে।তুলির
চোখে তার প্রেমিক হয়ে শ্রেষ্ঠত্ব
দেখাতেই হবে।
*
হাতে সময় খুব কম। এমাসে আছে মাত্র
৬দিন।নানান চিন্তা মাথায় ঘুরতে
থাকে। টাকা কোথায় পাবে সে?
পরের দিন স্কুলে গিয়ে প্রাইভেট
টিচারকে বললো, এ মাসে সে পড়বে
না। বাসায় এসে নানান ফন্দি করে
সে। নিজের ঘর থেকে চুরি করে ধান
বিক্রি করে সে। সুযোগ সন্ধানী
ক্রেতা আধা দাম দিয়ে ধান কেনে।
নিরব কিছু বলতে পারে না। রোজ
টিফিন না খেয়ে , এবং হেটে স্কুলে
গিয়ে উপহারের পয়সা জমাতে থাকে।
আর কল্পনায় দেখে সেই শুভ দিনের।
*
দেখতে দেখতে দশ তারিখ পার হয়ে
যায়। আর একটা দিন বাকি। নিরব
রোজ বই নিয়ে প্রাইভেট পড়ার নামে
বেরিয়ে যায়। মাকে মিথ্যা বলে সে।
টিচারের খুব বিপদ তাই তাকে এ মাসে
অগ্রীম দিতে হবে।মানিরবের হাতে
অগ্রিম মাসের টাকা তুলে দেন। সব
মিলিয়ে এক হাজার দুইশ টাকার মত
হলো।সে ভাবে এবার তার সম্পর্কটা
পোক্ত হবে। তুলি এবার নিরবের উপহার
পেয়ে খুশি হবে আর কিপ্টুস বলে
টিটকিরি দেবে না।
*
টাকা নিয়ে নিরব মার্কেটের
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাসে প্রচন্ড ভীর।
ভেতরে দাড়িয়ে সে ভাবলো , এখান
থেকে যদি কিছু টাকা বাচে তাহলে
মায়ের জন্য কিছু একটা কিনবে।
ভীরের ভিতর কয়েকবার পকেটে হাত
দিয়ে দেখলো তার টাকা ঠিক আছে।
*
মার্কেটে ঢুকে নিরবের মাথা খারাপ
হয়ে গেল। এই টাকার মধ্যে ভালো
কোন উপহার পাওয়া গেল না। অবশেষে
মন খারাপ করে ফুটপাত ধরে হাটতে
থাকে। হঠাৎ চোখ পড়ে রাস্তার এক
হকারের দোকানে।বিভিন্ন ধরনের
মুক্তা ও পাথরের নেকলেস ও কানের
দুল। নিরব এক জোড়া নেকলেস পছন্দ
করে অনেক দর কষাকষি করে সাতশ
টাকা স্থীর করলো। কিন্তু পকেটে হাত
দিয়ে নিরব দেখলো পকেট শূন্য।
পাগলের মত সব পকেট হাতরালো সে।
না কোথাও নেই। নিরবের শরীর
ঘামতে থাকে।
দোকানদার মুখ বাড়িয়ে নিরবের
উদ্দেশ্যে কিছু বাজে কথা বললো।
নিরব নীরবে সহ্য করে বাড়ির দিকে
রওনা দিলো। তার পকেটে একটি
টাকাও নেই। ৫কিলোমিটার পথ হাটতে
হাটতে অনেক রাতে বাড়ি ফিরলো
সে।
অনেক রাতে বাড়ি ফেরার কারনে
মায়ের অনেক ঝাড়ি খেতে হলো।
*
বিছানায় বসে বসে নিরব ভাবে এখন
কি করবে সে? কাল তুলির জন্মদিন।
তুলিকে সে খুশি করবে কিভাবে? ছোট
চাচার কাছে গেলে হয়তো কিছু
পাওয়া পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রশ্ন
করবে একগাদা। ছোট চাচাকে একদম
সহ্য করতে পারে না নিরব। তুলিদের
ছাদে গিয়ে তুলির সাথে আড্ডা দিতে
দেখেছে সে আলমচাচাকে। তবুও নিরব
কোন উপায় না পেয়ে আলমের রুমে
গেল।আলম ছিলেন না। কি মনে করে
আলমের ড্রয়ার খুললো নিরব।অনেক
কিছুর ভেতর রঙিন একটি প্যাকেট
পেয়ে খুলে দেখলো একটি সোনার
আংটি। নিরবের চোখের সামনে
ভেসে ওঠে তুলির মিষ্টি মুখখানা।
মুহূর্তে ছোট প্যাকেট থেকে আংটি
লুকোলো নিজের পকেটে। ফিরে এলো
নিজের ঘরে। সারারাত নিরবের ঘুম
হলো না কখন আলম চাচা আংটির জন্য
ওকে চেপে ধরে সে ভয়ে।
*
মা এসে নিরবের রুম তল্লাশী শুরু
করলেন। নিরব বুঝলো যুদ্ধ শুরু হয়ে
গেছে। নিরবের বুক ঢিপ ঢিপ করতে
লাগলো। সাহস সঞ্চয় করে জিজ্ঞেস
করতেই মা বললেন, গতরাতে আলমের
রুম থেকে একটি আংটি চুরি হয়েছে।
তাই তোর ঘর তল্লাশি করছি।
নিরব বললো, চাচা তো আংটি পরেনা।
তিনি তো মিথ্যাও বলতে পারেন।
মা আর খোজাখুজি না করে রুম থেকে
চলে গেলেন।
*
এদিকে আলমের মন খারাপ। নিরবকে
কিছু বললেন না তিনি। আলমের স্বপ্ন
ছিলো আংটি নিজ হাতে তুলির
আঙুলে পরিয়ে দিবেন। খুব পছন্দ করে
কিনেছিল আংটিটা।
*
নিরব গোসল সেরে খুব খুশি মনে নতুন
কাপড় পড়ে তুলিদের বাড়ির উদ্দেশ্যে
বাড়ি থেকে বের হলো।
*
আংটি দেখে তুলি নিরবের মুখের
দিকে তাকিয়ে থাকে।
নিরবও একদৃষ্টে চেয়ে থাকে।
তুলির চোখে দুষ্টুমির হাসি।
আজ তুলিকে খুশি করতে পেরেছে
নিরব।
হঠাৎ আলমচাচাকে তুলিদের বাড়িতে
ঢুকতে দেখে নিরবের এক অজানা ভয়
এলো । নিজেকে লুকালো সে।
আলমকে দেখে তুলি মিট মিট করে
হাসতে থাকে। আলমের হাত ধরে তুলি
তাকে নিজের রুমে নিয়ে যায়।
নিরবের বুক ধপ করে ওঠে । শালার পুত।
*
নিরব চুপিসারে তুলির রুমের জানালা
ঘেষে দাঁড়ালো । কান পাতলো। একটি
ছিদ্র দিয়ে ভেতরে চোখ রাখলো।
আলমের হাতে হাত রেখে তুলি বলছিল ,
-আলম, তোমার উপহার পেয়েছি।
-তার মানে? আলম চোখ তুলে তুলির
দিকে তাকালো।
তুমি বাম হাতটি বাড়িয়ে নিরবের
দেয়া আংটি দেখালো।
আলম জিজ্ঞসু দৃষটিতে তুলির দিকে
তাকালো।
-তোমার ভাতিজা নিরব চুরি করে এনে
আমাকে উপহার দিয়েছে।
- নিরব!
-হ্যা নিরব। নিরবের আনা আংটি
দেখেই বুঝেছি।সে আংটি পাবে
কোথায়।
-আচ্ছা তুলি , আংটি যে চুরি হয়েছে
তুমি জানলে কিভাবে?
-কেন? তোমার বন্ধুর কাছে। যার কাছ
থেকে তুমি টাকা ধার করে আরেকটি
আংটি কিনে এনেছো।
তুলির হাতটি নিজের হাতে আদর করে
আংটি পরিয়ে দিল আলম।
*
নিরব আর কিছু দেখতে চাইলো না।
দ্রুত সটকে পড়লো। বাড়ির দিকে
বিষন্ন মুখে হাটতে হাটতে সে শুধু
ভাবছিলো , হায়রে কপাল, শেষে হলাম
আংটি চোর !
---
গোধূলি স্বপ্ন